ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় জুলাই বিপ্লবে শহীদ শাজাহানের নবজাতক সন্তানের পাশে দাড়ালেন জেলা প্রশাসক


আপডেট সময় : ২০২৪-১২-২৮ ১৯:০৩:৫০
ভোলায় জুলাই বিপ্লবে শহীদ শাজাহানের নবজাতক সন্তানের পাশে দাড়ালেন জেলা প্রশাসক ভোলায় জুলাই বিপ্লবে শহীদ শাজাহানের নবজাতক সন্তানের পাশে দাড়ালেন জেলা প্রশাসক




আশিকুর রহমান শান্ত 
ভোলা প্রতিনিধি 


জুলাই আগস্ট বিপ্লবে নিহত শহীদ শাজাহান এর নবজাতক ছেলের জীবন গঠনে ও পড়ালেখা সহ যাতে এই শিশু আগামী দিনে একজন আদর্শীক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সেই বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভোলা জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান। 

শনিবার (২৮ডিসেম্বর) ভোলা সদরের একটি ক্লিনিকে সদ্য ভূপৃষ্ঠ হওয়া নবজাতকের সংবাদ পেয়েই শহীদ শাহজাহানের পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য ছুটে গেলেন জেলা প্রশাসক।

নবজাতক কে দেখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, শহীদ শাজাহানের আগত সন্তানের কথা চিন্তা না করে দেশ ও জাতির জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি তার ছেলের মুখ দেখে যেতে না পারলেও দেশের সকল জনগণ আজ তার এই নবজাতক সন্তানের মুখ দেখে শাজাহানের আত্মত্যাগকে স্মরণ করছে। তাই তার সন্তান ও পরিবারের পাশে ভোলার জেলা প্রশাসন তথা সরকার সর্বদাই আছে এবং থাকবে। এসময় তিনি নবজাতক শিশুটিকে কোলে তুলে নেন এবং তার মা ও শিশুটির জন্য শীতের পোশাক, ফল, মিষ্টি ও নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শিশুটির জন্ম ও মায়ের চিকিৎসার সকল খরচের দায়িত্ব জেলা প্রশাসক গ্রহণ করেন।

তিনি আন্তরিকতার সাথে শহীদ শাজাহান এর মা বিবি আয়শা সহ পরিবারের সকলের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের ভালোমন্দ সবসময় জেলা প্রশাসক কে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।

এ বিষয়ে শহীদ শাজাহানের স্ত্রী ও শিশুটির মা ফাতেহা (২০) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী শাজাহান দেশের জন্য লড়াই করতে গিয়ে নিজের অনাগত সন্তানের মুখ না দেখেই দুনিয়া থেকে চলে গেছে। তাই আমার ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। কারন বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোল তথা গণঅভ্যূত্থান-২০২৪ চলাকালে গত ১৬ জুলাই ঢাকার সাইন্সল্যাবের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আমার স্বামী শাজাহান।

উল্লেখ্য, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার ধলিনগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইমান আলীর ছেলে শাজাহান ছিলেন ঢাকার বলাকা টাওয়ারের সামনের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মারা যাওয়ার সময় তার স্ত্রী ফাতেহা প্রায় ৪ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন এবং মেডিক্যাল রিপোর্টে ছেলে সন্তান আসার খবর শুনে অনাগত ছেলের নাম ওমর ফারুক রাখার জন্য তার স্ত্রীকে বলে গিয়েছেন বলে জানান তার স্ত্রী। বৈষ্ণব বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভোলার সমন্বয়ক আরিফ চৌধুরীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিশুটিকে জেলা প্রশাসক পরিদর্শন করার সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত এনডিসি যায়েদ হোছাইন এবং সমন্বয়ক আব্দুর রাহিম সহ বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ